করোসল ফলের মধ্যে অনেক ধরনের উপকারিতা রয়েছে যেগুলো আমাদের দেহের জন্য অনেক কার্যকরী। এই ফলে সাধারনত হাইপোগ্লাইসেমিক, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে। যার কারণে এই ফল খেলে আমাদের দেহে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। করোসল ফলের উপকারিতাগুলো
ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ জাপানের এক গবেষণায় বলা হয়েছে যে, করোসল ফল ক্যান্সারের প্রতিরোধী এবং চিকিৎসার জন্য অনেক উপকারি। গবেষনায় এটিও বলা হয়েছে ক্যান্সারের কেমোথেরাপির চেয়ে করোসল ফল ১০ হাজার গুণ অধিক শক্তিশালী। তাই ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে প্রতিরোধের জন্য আপনারা এই ফল খেতে পারেন। কারন, এই ফল ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ ভালো ভূমিকা পালন করে।
পেটের জন্য উপকারীঃ করোসল ফল অনাকাঙ্ক্ষিত পাকস্থলীকে ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি হজমের বৃদ্ধি করে। আবার এই ফল কিছু রোগ নির্মূল করতে সহায়তা করে যেমন আলসার, গ্যাস্ট্রাইসিস।
চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখেঃ করোসল ফলে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ রয়েছে যার ন্সম হচ্ছে লুটেইন (Lutein)। যা চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। এই ফল চোখে ছানি পড়া রোধ করার পাশাপাশি ম্যাকুলার (Macular) অবক্ষয়ের মতো অসুস্থতাও কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক থাকে।
ননী ফল শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির এক মহৌষধ।
ননী ফল চারা
করোসল ফলের উপকারিতা
বডি ইমিউনিটি বাড়াতেঃ বডির ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করতে খান ননীর রস। প্রতিদিন যদি ননীর রস খাওয়া যায়, তাহলে বিভিন্ন রোগ থেকে থাকবেন অনেক দূরে। কারণ এতে থাকা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। শরীরকে যে কোনো রকম ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। তার ফলে শরীর থাকে সুস্থ।
স্ট্রেস কমাতেঃ শরীরের অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধ করার সঙ্গে সঙ্গে স্ট্রেস কমাতেও ননী ফল অসাধারণ কাজ করে। বিভিন্ন রিসার্চ থেকে এটা দেখা গেছে, ননী ফল মানসিক স্ট্রেস কমাতে বেশ সাহায্য করে। সঙ্গে মানসিক ভারসাম্যকে উন্নত করে। মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। অর্থাৎ শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনকেও ভালো রাখতে ননী ফল উপকারী।
সর্দি কাশি সারাতেঃ ননী ফল খেলে সর্দি কাশির এই সমস্যা থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে পারবেন। কারণ এতে আছে অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান। তাই সর্দি, কাশি, জ্বর এসব সমস্যা থেকে অনেকটাই দূরে রাখতে সক্ষম ননী।
হাড়ের সমস্যায়ঃ হাড়ের সমস্যার ক্ষেত্রে ননী ফলের রস খুব উপকারী। এমনটাই মনে করছেন ফরটিস্ হসপিটালের চিকিৎসক ডক্টর আহুজা। তার দাবী, যারা হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, তাদের ক্ষেত্রে এই ফল খুব উপকারী। তারা যদি রোজ এই ফলের রস বা শরবত খেতে পারেন, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ভালো ফল পাবেন। ব্যথা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন। তীব্র হাঁটুর যন্ত্রণায় যারা ভুগছেন, তাদের এই ননী ফলের শরবত খাওয়ার কথা বলেন তিনি। আর্থ্রারাইটিসের সমস্যায় ভোগা রোগীদের ক্ষেত্রে এই ননী ফল কিন্তু আশীর্বাদস্বরূপ।
এনার্জি বাড়াতেঃ এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিনস। যা নিমিষেই শরীরের ক্লান্তি দূর করতে দুর্দান্ত কাজ করে। এটি শারীরিক ও মানসিক দুই ধরণের ক্লান্তিই কমায়। এনার্জি লেবেল বাড়ায় ও শারীরিক বিভিন্ন ক্রিয়াগুলোকে উন্নত করতে সাহায্য করে, এমনটাই বলছেন বৈদ্যনাথের ক্লিনিক্যাল অপারেশন ম্যানেজার ডক্টর আশুতোষ গৌতম।